হ্যান্ড পেইন্ট কী ও হ্যান্ড পেইন্টিং এর প্রাথমিক ধারনা?

1902
হ্যান্ড-পেইন্ট-কী-ও-হ্যান্ড-পেইন্টিং-এর-প্রাথমিক-ধারনা
হ্যান্ড-পেইন্ট-কী-ও-হ্যান্ড-পেইন্টিং-এর-প্রাথমিক-ধারনা
বিজ্ঞাপন

বর্তমানে রাজত্ব চলছে হ্যান্ড পেইন্টের। অনলাইন ব্যবসায়ের সূত্র ধরে হ্যান্ড পেইন্টিং পরিচিতি পেয়েছে সবার কাছে। স্বল্প পরিসরে ও স্বল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় বলে অনেকেই ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন এটিকে। তবে তার জন্য রং, তুলি,ও আঁকানো সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান থাকা আবশ্যিক।

হ্যান্ড পেইন্ট কী?

বিজ্ঞাপন

দুটি শব্দের সমন্বয় রয়েছে হ্যান্ড পেইন্টে। হ্যান্ড মানে হাত আর পেইন্ট মানে রং। আর এর মাধ্যমে যে কাজগুলো করা হয় তাকে বলা হয় হ্যান্ড পেইন্টিং।

কীভাবে করে?

নির্দিষ্ট জিনিসের ওপর আঁকানোর নামই হ্যান্ড পেইন্ট। রং তুলির সাহায্যেই মূলত কাজটি করা হয়।

হ্যান্ড পেইন্টিং কীসে করে?

শাড়ী, পাঞ্জাবী, থ্রী-পিছ, বিছানার চাদর ,ক্যানভাস, কাগজ, কাঠে ছাড়াও আরও অনেক কিছুতে হ্যান্ড পেইন্ট করা হয়।

হ্যান্ড পেইন্ট ও আমাদের ভুল ধারণাঃ-

অনেকেই হ্যান্ড মেইড আর হ্যান্ড পেইন্ট ব্যাপারটাকে গুলিয়ে ফেলেন। হাতে তৈরি শিল্পকে হস্তশিল্প বা হ্যান্ড মেইড বলা হয়। তারই একটি ছোট অংশ হলো হ্যান্ড পেইন্ট। অর্থাৎ, সব হাতে আঁকা জিনিসই হস্তশিল্প কিন্তু সব হস্তশিল্পই হাতে আঁকা নয়।

বর্তমানে অনেকেই আছে কম বেশি হ্যান্ড পেইন্ট করে কিন্তু তারা অনেকেই রঙ তৈরী কিংবা অনেকে কিছুর কাজ সম্পর্কে জানেনা। আজ হ্যান্ড পেইন্টের কিছু উপকরণ এর কাজ সমর্কে জানবো যে কোন উপকরনটি কি কাজের জন্য ব্যাবহার করা হয়ঃ

হ্যান্ড পেইন্টিং করার জন্য আমরা কিছু উপকরণ ব্যাবহার করে থাকি যার মধ্যে রয়েছে এনকে,বাইন্ডার,হোয়াইট পেষ্ট, নিউটেক্স, এপ্রিটন, ওক্সাল ইত্যাঊপকর

এনকেঃ এন কে একধরনের পাতলা ফেব্রিক আঠা । এটা রং বেশি ঘন হলে পাতলা করতে সাহায্য করে। কাপড়ের রং কে কাপড় থেকে উঠতে দেয়না এন কে এর ঘনত্ব বাইন্ডারের থেকে কিছুটা পাতলা। এটি ব্যবহারে রং এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ৷ কোনো রং যদি বেশি ঘন হয়ে থাকে তাহলে কিছু পরিমান এন কে মিশিয়ে রং পাতলা করা যায়।

বাইন্ডারঃ এটি মূলত এক প্রকার আঠা। যা রং কে দীর্ঘ স্থায়ী করতে সহায়তা করে। বাইন্ডার দেখতে দুধ এর মতো কিন্তু অনেক ঘন আঠালো হয়। গন্ধ অনেকটাই পাকা কাঁঠাল এর মতো

হোয়াইট পেষ্টঃ ডার্ক কালারের কাপড়ে পেইন্ট করার সময় কাজ গুলো ফুটিয়ে তোলার জন্য এনকে, বাউন্ডারের সাথে হোয়াইট পেস্ট মিক্সড করে কাজ করতে হয় যার ফলে পেইন্টিং এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, তা না হলে কালারটা অনেক ডিপ থেকে যায়।

নিউটেক্সঃ নিউটেক্স টা ব্যাবহার করা হয় মুলুত কিছু কাপড়ের উপর নির্ভর করে যেমন মসলিন, খাদি,ভয়েল,বলাকা সিল্ক, জর্জেট কাপড়, যেকোনো সিল্ক কাপড়, এসব কাপড়ে পেইন্ট করার জন্য নিউটেক্স দিয়ে রং বানাতে হয়। তবে নিউটেক্স নিয়ে কাজ করার সময় একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো নিউটেক্স এবং হোয়াইট পেষ্ট কখনোই একত্রে মিশিয়ে রং তৈরী করা যাবে না।

এপ্রিটনঃ এপ্রিটনও মুলত এক প্রকার আঠা। অনেক সময় হ্যান্ড পেইনটিং এর কাজ করতে গিয়ে কোনো কাপড়ে রং ছড়িয়ে গেলে কিছুটা এপ্রিটন মিশিয়ে নিলে রং আর ছড়াবে না।

ওক্সালঃ ওক্সাল এমন একটি ক্যামিকেল যা রং কে অনেক উজ্জ্বল করে।

creativehaterkaj

হ্যান্ড পেইন্ট করার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?

  • হ্যান্ড পেইন্টিং করার আগে যে কাপড়ে কাজ করা হবে তার নিচে ওয়েল ক্লোথ/পলি পেপার এবং শক্ত কোন কাগজের বোর্ড, নিউজপেপার ভাজ করে দিয়ে নিতে হবে।
  • তারপর নিজের মন মত ডিজাইন অনুযায়ী তুলি নির্ণয় করে তা দিয়ে কাপড়ে এঁকে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে আগে পেন্সিল বা কলম দিয়ে ডিজাইন এঁকে নিবেন।
  • যেই কাপড়ে রঙ করা হয়েছে তা প্রথমে ফ্যানের বাতাসে আর পরে একদিন রোদে দিলেই হবে। রঙ করার ২৪ঘন্টা পর কাপড় উলটো করে যেখানে যেখানে কাজ করা হয়েছে সেখানে মোটামুটি গরম আয়রন দিয়ে কাপড়টা ভালভাবে আয়রন করে নিতে হবে এতে করে ডিজাইন আর রঙ দুইটাই দীর্ঘস্থায়ী হয়।

হ্যান্ড পেইন্টিং অ্যাপসটি ইন্সটল করতে নিচের ছবির উপরে ক্লিক করুন

handpaintingapps

ইন্টারনেট ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে গুগল ম্যাপ

টেক টাইমস বিডি এর ফেসবুক পেজের লিংক

তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট

বিজ্ঞাপন