সর্বশেষঃ
বিজনেসলাইফ-স্টাইল

উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য দরকার ১৫ গুণাবলী

নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতে কার না ভালো লাগে। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চাহিদার কিংবা আকর্ষণের একটি কাজ হচ্ছে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ব্যবসা কিংবা চাকরি যেকোনো জায়গাতেই মানুষ চায় নিজেকে কিছুটা আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে। তাই তো বর্তমান সময়ের তরুণ তরুণীদের আকর্ষণের একটি জায়গা হচ্ছে নিজেকে উদ্যোক্তার আসনে দেখা।উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অবশ্যই আপনার মাঝে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে যেমনঃ

১.আত্মবিশ্বাসঃ প্রত্যেক মানুষের কিছু গুণ থাকে। সফল উদ্যোক্তার প্রধান গুণ হচ্ছে আত্মবিশ্বাস।একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে,যার আত্মবিশ্বাস যত বেশি তার সাফল্য তত বেশি। যদিও এটি অর্জন করা কঠিন। সফল উদ্যোক্তা তার আশপাশের আত্মবিশ্বাসী লোকদের মধ্যে অন্যতম। আপনাকে হতে হবে স্থির ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, যা আত্মবিশ্বাসকে আরও বৃদ্ধি করে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবে।

২.ধৈর্যশীলতাঃ কঠোর ধৈর্যশীলতার মাধ্যমে ব্যবসার পথকে অধিকতর মসৃণ করতে হবে। ব্যবসায় সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতা নামক শব্দটি থাকে। ব্যর্থতা নামক শব্দটিতে ধৈর্যশীলতার মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্যবসার সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করে সফল উদ্যোক্তা হতে অবশ্যই ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

৩.কঠোর পরিশ্রমীঃ উদ্যোক্তা হতে হলে কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। তিল তিল করে গড়ে তোলা বিজনেস এক সময় বিশাল শিল্প সামাজ্য করে তুলতে সততা আর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। এরপর আপনাকে হতে হবে ডায়নামিক এবং চৌকস। কেননা উদ্যোক্তা হতে আপনাকে পিওন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রধানের সঙ্গে পর্যন্ত কথা বলতে হবে। অধিক পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। কোনো কারণে কাজে সফল না হতে পারলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। অধিক মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

৪.লক্ষ্য স্থির করাঃ জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে লক্ষ্য স্থির করা। আপনি যখন কোনো কাজ মন প্রাণ দিয়ে করতে চাইবেন দেখবেন নানা ভাবে নানা সমস্যা মাথাচারা দিয়ে উঠছে। আপনার হয়ে যাওয়া কাজটাও শেষ মূহূর্তে আর করা হয়ে উঠছে না। এই পর্যায়ে বেশিরভাগ নতুন উদ্যোক্তাদের মনে এটাই আসে যে আমাকে দিয়ে আর হবে না। আমি এই কাজটি শেষ করতে পারবো না। এটি আপনার মনোবল ভেঙ্গে দেয় যাতে করে আপনি আর আপনার লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তাই সবার আগে লক্ষ্য স্থির করুন।

৫.নেটওয়ার্ক তৈরিঃ একজন নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি অনেক কিছুই জানেন না। সেই দিক থেকে নতুন কিছু করতে গেলে আপনাকে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হবে। তাই যত পারুন আপনার আশেপাশের মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন। এটি আপনাকে নানা তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে। সেই সাথে আপনার জন্য এই যোগাযোগ আপনার জন্য কাজ করবে নেটওয়ার্ক হিসেবে।

৬.এ্যাডভারটাইজিংঃ আপনি আপনার কাজকে যত সুন্দর করে মানুষের মাঝে তুলে ধরবেন তার কদর ততো বাড়বে। আর সেই ক্ষেত্রে মোবাইল এ্যাডভারটাইজিং হতে পারে আপনার প্রথম স্টেপ। সেজন্য আপনার আশেপাশের বন্ধু কিংবা আত্নীয়দের নির্বাচন করুন। এরপর তাদের আপনার কাজ মেইল কিংবা নানাভাবে প্রদর্শন করুন। যখন দেখবেন সাড়া পাচ্ছেন, তখন বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন।

৭.উদ্ভাবন থেকে বিরত না থাকাঃ মনে রাখুন আপনি একজন উদ্যোক্তা। আপনার কাজই হচ্ছে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করা। নতুনকে সবার মাঝে তুলে ধরা। পিছনে হাজার মানুষ হাজারটা কথা বলবেই। তাকে নিয়ে বসে থাকলে আপনি কখনো সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারবেন না। তাই সব সময় নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।

৮.সুযোগ সন্ধান করাঃ ব্যবসা সংক্রান্ত নতুন নতুন সুযোগ অনুসন্ধান করা এবং এগুলোর উপর কাজ করা । আথিক সংস্থান, যন্ত্রপাতি, জমি বা অন্যান্য সহযোগিতার জন্য সম্ভাব্য সুযোগগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করা ।

৯.অধ্যবসায়ঃ জীবনে যে কোনো অর্জনের জন্য আপনাকে অধ্যবসায়ী হতে হবে,অধ্যবসায় ছাড়া কোনো অর্জনই সম্ভব নই। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই অধ্যবসায়ী হতে হবে। জীবনে চলতে গেলে বাঁধা আসবেই, তাই বলে থমকে গেলে চলবে না ,সামনে যতই বাঁধা আসুক না কেন অবিরাম বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে সে সমস্ত বাঁধাকে দূর করকে হবে।

১০.কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকাঃ কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুন,শ্রমিকদের সাথে কাজে লেগে থাকুন এবং তাদের মাধ্যমে কাজগুলো করিয়ে নিন, যাতে গ্রাহকগণ সবসময় সন্তুষ্ট থাকে।একটা বিষয় মনে রাখবেন আপনি তখনি আপনার ইমপ্লয়িদের কাছথেকে খুব ভালো ফলাফল পাবেন যখন আপনি আপনার ইমপ্লয়িদের হ্যাপি রাখবেন।

১১.গুনগত মান ও দক্ষতাঃ এমনভাবে কাজ করুন যেন তা প্রচলিত মানের চেয়ে ভাল হয় বা অতীত কাজের চেয়ে উন্নতর হয় । গুনগত মান ঠিক রেখে ভালভাবে, দ্রুত ও সস্তায় দক্ষতার সাথে কাজ করবার চেষ্টা করুন ।

১২.ঝুকি গ্রহণঃ একজন উদ্যোক্তা হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে ঝুঁকি গ্রহন করা,একজন উদ্যোক্তা হতে হলে আপনকে সহনীয় ক্ষমতা অনুযায়ী ঝুকি গ্রহণ করার মানসিকতা রাখতে হবে। সহনীয় ঝুকি সম্পন্ন পরিস্থিতিতে যুক্তিযুক্ত অগ্রাধিকার সমূহ প্রদান করা।

১৩.সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা তৈরী করাঃ সুশৃঙ্খল পরিবেশ ছাড়া কোন কাজের অগ্রগতি সম্ভব নয়, তাই লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপসহ পরিকল্পনা তৈরী করুন ও অনুসরন করুন ।বিকল্প পদক্ষেপ তৈরি করুন । লক্ষ্য পৌছানোর জন্য প্রয়োজনে বিকল্প পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুন ।

১৪.তথ্য অনুসন্ধানঃ তথ্য সংগ্রহ করুন,ব্যক্তিগতভাবে গ্রাহক, সরবরাহকারী ও প্রতিযোগিদের সম্পকে তথ্য অনুসন্ধান করুন।আপনি যত বেশি আপনার প্রতিযোগীদের প্রতি সচেতন থাকবেন তত বেশি নিজের কোম্পানির উন্নতি করতে পারবেন। তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্ক তৈরি করুন ও তথ্যগুলোকে কাজে লাগান ।

১৫.মূলধন নিয়ে সচেতন থাকাঃ আমাদের দেশে ইনভেস্টর পাওয়া অনেক কঠিন একটা ব্যাপার, তাই এ ব্যাপারে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে,অন্তত এক বছরের মূলধন নিয়ে আপনাকে মাঠে নামতে হবে। সরকারী ভাবেও ইনভেস্ট পাওয়া যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে,এ ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে এবং অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিভিন্ন আইডিয়ার উপর ইনভেস্ট করে থাকেন সে দিকেও নজর রাখতে হবে ।

তথ্যসূত্র: রাইইন্টারনেটজিংবিডি

টেক টাইমস বিডি

টেক টাইমস বিডি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করতেঃ এখানে ক্লিক করুন
টেক টাইমস বিডি ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ টেক টাইমস বিডি ফেসবুক পেজের লিংক
টেক টাইমস বিডি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতেঃ এখানে ক্লিক করুন এবং তথ্য প্রযুক্তির আপডেট ভিডিও দেখুন।
গুগল নিউজে টেক টাইমস বিডি সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
তথ্য প্রযুক্তির আপডেট খবর পেতে ভিজিট করুন www.techtimesbd.com ওয়েবসাইট।

এই বিভাগের আরও খবর

সম্পর্কিত খবর
Close
Back to top button